রাইফেল লোড, অনলোড ও ফায়ার
৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬ লোড
ক। রাইফেলকে তিনভাবে লোড করা যায়। যথা:
(১) ক্লিপের সাহায্যে লোড।
(২) ক্লিপ ছাড়া লোড।
(৩) একটি করে গুলি লোড।
খ। লোডের লক্ষণীয় বিষয়সমূহ:
(১) চেম্বারে একটি গুলি।
(২) অপারেটিং পার্টস সামনে ।
(৩) ভরা ম্যাগজিন।
(৪) সেপ্টি কেস সেফ পজিশন।
গ। রাইফেল আন-লোডে করণীয়:
(১) ম্যাগজিন খোলা।
(২) বোল্ট ও বোল্ট ক্যারিয়ার কয়েকবার পিছনে নিয়ে ছেড়ে দেয়া
(৩) ফায়ার করা
ঘ। রাইফেল আন-লোডে লক্ষণীয়:
(১) চেম্বারে গুলি নাই
(২) ম্যাগজিন খালি
(৩) সেফটি কেস সেফ পজিশন
ঙ। রাইফেল কখন আন-লোড করা হয়:
(১) ফায়ারিং শেষে
(২) ফায়ারের প্রয়োজন না হলে
চ। রাইফেল ধরা, লক্ষ্যস্থির ও ফায়ারিং:
(১) সাইট সেটিং:
প্রথমে অস্ত্র ধরার আগে জানতে হবে সাইট সেটিং। এই অস্ত্রের সাইট গ্রাজুয়েশনকে মিটারে প্রকার করা হয়েছে। যথা ১ হতে ১০ পর্যন্ত দেয়া আছে এবং বামে বেজোড়া নম্বর যেমন-১,৩,৫,৭ ও ৯ আর ডানে জোড় নম্বর যেমন- ২, ৪, ৬, ৮ ও ১০ দেয়া আছে। ফায়ারের সময় সাইটকে সেট করতে হলে যত মিটার ফায়ার করতে হবে যেমন ২০০ বা ৩০০ মিটার ঐ নম্বর দেয়া আছে।
(২) রেঞ্জ প্লেট -এর সব নীচে যে, ডি লেখা আছে, সেখানে লাগিয়ে ব্যাটেল সাইটে ফায়ার করা যায় । বিশেষ করে রাত্রিকালে ডি-তে রেঞ্জ লাগিয়ে ফায়ার করা খুবই সুবিধাজনক। রাত্রিকালে অন্ধকারে যখন সাইট দেখা যায় না তখন সাইটকে সবচেয়ে পিছনে এনে সামান্য উপরে ধাক্কা দেয়ার পর ক্লিক করে আওয়াজ করলেই সঠিক ব্যাটেল সাইট লাগানো যাবে।
(৩) ফায়ারিং পজিশন: ফায়ারিং পজিশন ৪ ধরণের হয়ে থাকে । যথা:
(ক) বসা অবস্থা।
(খ) হাঁটু গাড়া অবস্থা।
(গ) দাঁড়ানো অবস্থা।
(ঘ) শোয়া অবস্থা।