পর্ব-১: বিভিন্ন ক্ষুদ্রাস্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ

৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬(চায়না)

১। পূর্ণনাম:

ক্যালিবার ৭.৬২ মিঃ মিঃ আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল টাইপ ৫৬

২। বৈশিষ্ট্য:

৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬ (চায়না) এর বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে দেয়া হলো: 

ক। আধা স্বয়ংক্রিয়।

খ। গ্যাস দ্বারা চালিত।

গ। বাতাসে ঠান্ডা হয়।

ঘ। সংযুক্ত ম্যাগজিন ক্লিপ দ্বারা ভরা।

ঙ। স্থায়ীভাবে লাগানো সংগীন। 

চ। হালকা ও সঠিক।

৩। ফায়ারিং কার্যকারিতা:

ফায়ারিং এর কার্যকারিতা নিচে প্রদর্শন করা হলো:

ক। কার্যকরী দুরত্ব (প্রতিরক্ষায়)৩০০ মিটার।
খ। সর্বোচ্চ কার্যকরী দুরত্ব৪০০ মিটার।
গ।ছত্রীসেনার বিরুদ্ধে ৫০০ মিটার।
ঘ। দলবদ্ধ শত্রুর বিরুদ্ধে৮০০ মিটার।
ঙ। সর্বোচ্চ বুলেটের কার্যকরীতা ১,৫০০ মিটার।
চ।  সর্বোচ্চ দুরত্ব২,০০০ মিটার।

৪। ফায়ারের হার: 

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ৩০-৪০ রাউন্ড (প্রতি মিনিট)।

৫। ছেদন ক্ষমতা:

ছেদন ক্ষমতা নিম্নরূপ: 

ক।লৌহের পাত –৬ মিঃ মিঃ / ২৫ ইঞ্চি ।
খ।ইটের দেওয়াল-১৫ মিঃ মিঃ/৫.৯ ইঞ্চি ।
গ।মাটির দেওয়াল-৩০ মিঃ মিঃ/১১.৮ ইঞ্চি ।
ঘ।কাঠের তক্তা-৪০-৬০ মিঃ মিঃ/১৫.৭-২৩.৬ ইঞ্চি ।

৬। ওজন:

ওজন নিম্নরূপ: 

ক ৷রাইফেল (সিলিং ছাড়া)৩.৮৫ কেজি।
খ।গুলি১৬.৪ গ্রাম।
গ।বুলেট৭.৯ গ্রাম।
ঘ।বারুদ১.৬ গ্রাম।
ঙ।১০ টি গুলিসহ ক্লিপের ওজন১৮০ গ্রাম।

৭। গুলির মাপ:

৭.৬২ মিঃ মিঃ x ৩৯ মিঃ মিঃ

৮। দৈর্ঘ্য:

রাইফেলের বিভিন্ন অংশের মাপ নিম্নরূপ: 

ক। রাইফেলের সংগীন ভাঁজ করা অবস্থায়১.০২ মিটার/৪০.১৬ ইঞ্চি।
খ। রাইফেলের সংগীন খোলা অবস্থায়  ১.২৬ মিটার/৫০.৪ ইঞ্চি।
গ।ব্যারেল৫২০ মিঃমিঃ/২৫.৫ ইঞ্চি।
ঘ।সাইট ব্যাসার্ধ৪৮০মিঃমি/১৮.৮০ ইঞ্চি।
ঙ। সাইট দুরত্ব১০০-১০০০ মিটার।

৯। অন্যান্য তথ্যাদি :

রাইফেলের অন্যান্য তথ্যাদি নিম্নরূপ : 

ক। মাজেল ভেলোসিটি৭৩৫ মিটার পার সেকেন্ড। 
খ। সর্বোচ্চ চেম্বার প্রেসার২৮০০ কেজি/সেঃমিঃ বর্গ।
গ।রাইফ্লিং৭.৬২ মিঃ মিঃ।
ঘ।ব্যারেলের মধ্যে ঘুর্ণায়মাণ চক্র৪টি (ডান দিকে)।
ঙ। রাইুফ্লং গ্রুপের গভীরতা১৫ মিঃ মিঃ/০০২ ইঞ্চি।
চ।ম্যাগজিনের ধারণ ক্ষমতা১০ রাউন্ড।
ছ  ফ্রন্ট সাইট টিপের চওড়া২ মিঃ মিঃ।

১০। অংশ বিশেষের নাম: 

৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬ অস্ত্রটি সাধারনতঃ ৮অংশে খোলা যায়।  নিচে অংশ গুলোর নাম আলোচনা করা হলো: 

ক। সিলিং।

খ। ক্লিনিং কিট্স মেটারিয়াল।

গ। রিসিভার কভার ।

ঘ। কাউন্টার রিকয়েল ম্যাকনিজম ।

ঙ। বোল্ট এন্ড বোল্ট কেরিয়ার ।

চ। গ্যাস সিলিন্ডার।

ছ। পিস্টন 

জ। ব্যারেল এন্ড রিসিভার ।

১১। ৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬ এর বাহিরের অংশসমূহ:  

রাইফেলটির বাহিরের অংশসমূহ নিম্নরূপ: 

ক। ব্যাক প্লেট গ্রুপ/প্লেট

খ। স্কু ২টা

গ। স্প্রিং

ঘ। বাট স্ট্রোক

ঙ। গ্যাস টিউব

চ। ফ্রন্ট সাইট টিপ

ছ। ব্যাক সাইট ইউ

জ। ট্রিগার গার্ড

ঝ। ম্যাগজিন

ঞ। ট্রিগার

ট। রিসিভার কভার

ঠ। সিলিং

ড। বেয়নেট

ঢ। সেপ্টি কেস

১২। ৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬ এর পরিষ্কারের নিয়মসমূহ: 

ক। যে সব সময়ে পরিষ্কার করা হয়: 

(১) প্রতিদিন বা প্রত্যহ পরিষ্কার ।

(২) সাপ্তাহিক পরিষ্কার ।

(৩) মাসিক পরিষ্কার ।

(8) ত্রৈমাসিক পরিষ্কার ।

(৫) অর্ধবার্ষিক পরিষ্কার ।

(৬) বার্ষিক পরিষ্কার ।

(৭) বিশেষ পরিদর্শন পরিষ্কার ।

(৮) ফায়ারিং এর আগে ও পরে পরিষ্কার ।

খ। ৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬ পরিষ্কার করতে যে সব দ্রব্য লাগে: 

(১) পরিষ্কার নরম কাপড় ।

(২) চিন্দি ।

(৩) চেম্বার স্টিক ।

(8) রাইফেল ওয়েল/তেল, (রাইফেলের লোহার অংশের জন্য মিনারেল ওয়েল ভেস্কোসিটি গ্রেড-৪৬; কাঠের অংশের জন্য ব্যবহৃত তেল হচ্ছে লেনসিট ওয়েল; কাঠ ও লোহার মিশ্রিত অংশে ৮০% গ্রিজ, ১৫% রাইফেল ওয়েল, ৪.৫% মোম, ০.৫% তুত দিয়ে মিশ্রিত তৈরি তেল।

গ। ৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল পরিষ্কারের সময় লক্ষণীয় বিষয়সমূহ :

(১) প্রতিটি পার্টস আলাদা আলাদা খুলতে হবে।

(২) শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

(৩) প্রয়োজনীয় তৈল প্রয়োজনীয় অংশে লাগাতে হবে।

(৪) মরিচা থাকলে ওয়েলে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরিষ্কার চিন্দি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

(৫) পরিষ্কারের সময় অস্ত্রকে সঠিকভাবে পরিষ্কারের জন্য আনুষাঙ্গিক দ্রব্য হিসাবে চেম্বার ষ্টিক ও ব্যবহৃত ব্রাশ এর ব্যবহার করতে হবে ।

১৩। ৭.৬২ মিঃ মিঃ রাইফেল টাইপ ৫৬ জোড়ার নিয়ম: 

ক। যে সব অংশ আগে খোলা হয় তা পরে লাগাতে হবে।

খ। কোন অংশের সঙ্গে বল প্রয়োগ করা যাবে না।

গ। কোন অংশে লোহার হাতুড়ি ব্যবহার করা যাবে না । 

ঘ। অংশগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জোড়া দিতে হবে ।

About মুহম্মদ জিয়াউর রহমান

Check Also

ক্যাডেট পদোন্নতি পরীক্ষার দরকারী প্রশ্ন ও উত্তর-০২

প্রশ্নঃ দুর্যোগ কাকে বলে? দুর্যোগের প্রকারভেদ কয়টি ও কি কি?  উত্তরঃ যা স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে বিপন্ন …

Leave a Reply

Optimized by Optimole