পর্ব-৩: বিভিন্ন ক্ষুদ্রাস্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ

৭.৬২ মিঃ মিঃ এস এম জি – টাইপ ৫৬

১। পূর্ণনাম

পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এসএমজি ক্যালিবার ৭.৬২ মিঃ মিঃ – টাইপ ৫৬ (মেড ইন চায়না) ।

২। বৈশিষ্ট্য: 

এল এম জি’র বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্ন দেয়া হলো: 

ক। এটা একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় তবে একটি করেও ফায়ার করা যায়।  

খ। গ্যাস দ্বারা চালিত। 

গ৷ বাতাসে ঠান্ডা হয়।

ঘ। ম্যাগজিন থেকে গুলি পায়। 

চ। ওজনে হালকা তাই রাইফেলের মত ফায়ার করা যায় ।

ছ। এটি সম্মুখ যুদ্ধের জন্য আদর্শ অস্ত্র ।

৩। ফায়ারিং কার্যকারিতা:

ফায়ারিং এর কার্যকারিতা নিচে প্রদর্শন করা হলো:

ক। কার্যকরী দুরত্ব ৪০০ মিটার।
খ। প্রতিরক্ষামূলক দুরত্ব৩০০ মিটার।
গ।ছত্রীসেনার বিরুদ্ধে ৫০০ মিটার।
ঘ। দলগত শত্রুর বিরুদ্ধে ৮০০ মিটার।
ঙ। সর্বোচ্চ বুলেটের কার্যকরীতা ১,৫০০ মিটার।
চ।সর্বোচ্চ দুরত্ব২,০০০ মিটার।

৪। ছেদন ক্ষমতা:

ছেদন ক্ষমতা নিম্নরূপ: 

ক।লৌহের পাত –৬ মিঃ মিঃ / ২৫ ইঞ্চি ।
খ।ইটের দেওয়াল-১৫ মিঃ মিঃ/৫.৯ ইঞ্চি ।
গ।মাটির দেওয়াল-৩০ মিঃ মিঃ/১১.৮ ইঞ্চি ।
ঘ।কাঠের তক্তা-৪০-৬০ মিঃ মিঃ/১৫.৭-২৩.৬ ইঞ্চি ।

৫। ওজন:

এস এম জি’র বিভিন্ন অংশের ওজন নিম্নরূপ: 

ক ৷খালি ম্যাগজিনসহ সিলিং ছাড়া ওজন ৩.৮১ কেজি।
খ।একটি খালি ম্যাগজিন০.৪২৮ কেজি।
গ।ভরা ম্যাগজিন( এ্যামুনেশন সহ) ০.৯২ কেজি।
ঘ।বল/তাজা এ্যামুনেশন/গুলি১৬.৪০ গ্রাম।
ঙ।বুলেট৭.৯০ গ্রাম।
চ।খালি কার্তুজের ওজন৬.৯০ গ্রাম।
ছ।বারুদ১.৬০ গ্রাম।
জ।কার্তুজের ধরণ৭.৬২ মিঃ মিঃ।

৬। গুলির মাপ:

৭.৬২ মিঃ মিঃ x ৩৯ মিঃ মিঃ

৭। দৈর্ঘ্য:

বিভিন্ন অংশের মাপ/দৈর্ঘ্য নিম্নরূপ: 

ক। এস এম জি মোট দৈর্ঘ্য৮৭৮ মিলিমিটার।
খ। ব্যারেল৪১৫ মিলিমিটার।
গ।রাইফেলের দৈর্ঘ্য ৩৬৯  মিলিমিটার।
ঘ।দুই সাইটের মধ্যবর্তী দুরত্ব৩৭৮  মিলিমিটার।
ঙ। সাইট রেঞ্জে১-৮ কেজি।
চ।সর্বাধিক চেম্বার প্রেসার ২৮০০ কেজি।
ছ।মাজেল ভেলোসিটি৭৩৫ মিটার পার সেকেন্ড।
জ।ক্যালিভার৭.৬২ মিলিমিটার। 
ঝ।গ্রুপের গভীরতা০.১৫ মিলিমিটার।

৮। অংশ বিশেষের নাম: 

৭.৬২ মিঃ মিঃ এস এম জি অস্ত্রটি সাধারনতঃ ৫ অংশে খোলা যায়।  নিচে অংশ গুলোর নাম আলোচনা করা হলো: 

ক। সিলিং।

খ। ক্লিনিং কিট্স মেটারিয়াল।

গ। বাট গ্রুপ।

ঘ। বোল্ট এন্ড বোল্ট কেরিয়ার ।

ঙ। ব্যারেল এন্ড রিসিভার ।

৯। ৭.৬২ মিঃ মিঃ এস এম জি- এর পরিষ্কারের নিয়মসমূহ: 

ক। যে সব সময়ে পরিষ্কার করা হয়: 

(১) প্রতিদিন বা প্রত্যহ পরিষ্কার।

(২) সাপ্তাহিক পরিষ্কার।

(৩) মাসিক পরিষ্কার।

(8) ত্রৈমাসিক পরিষ্কার।

(৫) অর্ধবার্ষিক পরিষ্কার।

(৬) বার্ষিক পরিষ্কার।

(৭) বিশেষ পরিদর্শন পরিষ্কার।

(৮) ফায়ারিং এর আগে ও পরে পরিষ্কার।

খ। পরিষ্কার করতে যে সব দ্রব্য লাগে: 

(১) পরিষ্কার নরম কাপড় ।

(২) চিন্দি(ফ্যানেল এর তৈরি কাপড়) ।

(৩) চেম্বার স্টিক ।

(8) রাইফেল ওয়েল/তেল, (রাইফেলের লোহার অংশের জন্য মিনারেল ওয়েল ভেস্কোসিটি গ্রেড-৪৬; কাঠের অংশের জন্য ব্যবহৃত তেল হচ্ছে লেনসিট ওয়েল; কাঠ ও লোহার মিশ্রিত অংশে ৮০% গ্রিজ, ১৫% রাইফেল ওয়েল, ৪.৫% মোম, ০.৫% তুত দিয়ে মিশ্রিত তৈরি তেল।

গ। পরিষ্কারের সময় লক্ষণীয় বিষয়সমূহ :

(১) প্রতিটি পার্টস আলাদা আলাদা খুলতে হবে।

(২) শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

(৩) প্রয়োজনীয় তৈল প্রয়োজনীয় অংশে লাগাতে হবে।

(৪) মরিচা থাকলে ওয়েলে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরিষ্কার চিন্দি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

(৫) পরিষ্কারের সময় অস্ত্রকে সঠিকভাবে পরিষ্কারের জন্য আনুষাঙ্গিক দ্রব্য হিসাবে চেম্বার ষ্টিক ও ব্যবহৃত ব্রাশ এর ব্যবহার করতে হবে।

১০। ৭.৬২ মিঃ মিঃ এস এম জি- এর  জোড়ার নিয়ম: 

ক। যে সব অংশ আগে খোলা হয় তা পরে লাগাতে হবে।

খ। কোন অংশের সঙ্গে বল প্রয়োগ করা যাবে না।

গ। কোন অংশে লোহার হাতুড়ি ব্যবহার করা যাবে না। 

ঘ। অংশগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জোড়া দিতে হবে।

About মুহম্মদ জিয়াউর রহমান

Check Also

ক্যাডেট পদোন্নতি পরীক্ষার দরকারী প্রশ্ন ও উত্তর-০২

প্রশ্নঃ দুর্যোগ কাকে বলে? দুর্যোগের প্রকারভেদ কয়টি ও কি কি?  উত্তরঃ যা স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে বিপন্ন …

Leave a Reply

Optimized by Optimole