ক্যাডেট পদোন্নতি নীতিমালা

ভূমিকাঃ

বিএনসিসির মূল মন্ত্র “জ্ঞান, শৃংখলা ও একতায় উজ্জীবিত করে ক্যাডেটদেরকে ভবিষ্যতে সুনাগরিক ও নেতৃত্ব দানে সক্ষম করে গড়ে তোলা। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ক্যাডেটদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের সাফলা, উৎসাহ এব আগ্রহকে বিশ্লেষণ করে বিএনসিসির গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ওর মান-সম্মত এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করল হয়। মান-সম্মত এবং গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করা প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছতা আনতে দরকার বিএনসিসির গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধাপে পদোন্নতির সঠিক নীতিমালা।

বর্তমানে প্লাটুন পর্যায়ে পদোন্নতির নীতিমালা না থাকায় প্লাটুন কমান্ডারগণ নিজস্ব বিচার বিশ্লেষ- বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের মাধ্যমে ক্যাডেটদের পদোন্নতি দিয়ে থাকেন। ফলে বিভিন্ন প্লাটুন/ব্যাটালিয়নে ক্যাডেটদের পদোন্নতির মানদন্ড ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেক সময় টি ও এন্ড ই এর উপর জ্ঞান ন থাকায় কোন কোন প্লাটুন/ব্যাটালিয়নে একটি এ্যাপয়েন্টমেন্টের বিপরীতে প্রাধিকারের অধিক পদোন্নতি দেয় হয়, ফলে ঐ প্লাটুন/ব্যাটালিয়নে ক্যাডেটদের মধ্য নিয়মতান্ত্রিক নেতৃত্ব চর্চার অভাব লক্ষ্য করা যায় আবার প্লাটুনের ক্যাডেটদের পদোন্নতিতে কোম্পানী বা ব্যাটালিয়নের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় কোম্পানী এব ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে ক্যাডেটদের পদোন্নতিতে এদের কোন ভূমিকাই থাকে না। অথচ পদোন্নতিতে প্লাটুন কোম্পানী এবং ব্যাটালিয়ন একই চেইন অব কমান্ডের সূত্রে গাঁথা।

উপরোক্ত সীমাবদ্ধতা দুরীকরনাথে এই নীতিমালা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিএনসিসি প্রতিটি প্লাটুন, কোম্পানী বা ব্যাটালিয়নের জন্য একই নীতিমালা হওয়ায় সকল ক্যাডেটদের পদোন্নতি মানদন্ড থাকবে একই। নীতিমালার প্রতিটি স্তরে টিওএন্ডই এর কথা উল্লেখ থাকায় প্লাটুন কমান্ডারগণ ও এন্ড ই এর কোটা অনুযায়ী ক্যাডেটদের পদোন্নতি দেয়ার ব্যাপারে সচেতন হবেন। পদোন্নতি পরীক্ষা বিষয় বস্তু সামরিক বিজ্ঞান ও প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে করা হয়েছে। তবে কি কিছু ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা রাখা হয়েছে। প্রতি স্তরে পদোন্নতি পর্ষদ গঠনে প্লাটুন, কোম্পানী ব্যাটালিয়নের সবার সংশ্লিষ্টতার কথা চিন্তা করা হয়েছে। পরীক্ষার মেধা তালিকা অনুযায়ী পদোন্নতি পেে স্বাভাবিক ভাবেই যোগ্য ক্যাডেটরাই নেতৃত্ব দিতে পারবে, ফলে নেতৃত্ব চর্চা আরো গতিশীল হবে। বার্ষিক প্রশিক্ষণ ক্যাডেটদের জন্য একটি অপরিহার্য প্রশিক্ষণ। ঠিক তদ্রুপ শীতকালিন যৌথ প্রশিক্ষণ সমমর্যাদা সম্পন্ন কিন্তু ক্যাডেটদের মধ্যে শুধু বার্ষিক প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ দুটো প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ক্যাডেটদের সমভাবে উৎসাহী করতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুটো প্রশিক্ষণের অংশ গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

উদ্দেশ্যঃ

বিএনসিসি’র সাংগঠনিক কাঠামোর প্রতিটি ধাপে ক্যাডেটদের পদোন্নতির নিয়মতান্ত্রিক ও সঠিক নীতি মালা প্রনয়ণ করা।

কার্যপরিধি:

ক্যাডেটদের পদোন্নতির নীতিমালা ও জুনিয়র ও সিনিয়র ডিভিশনের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী আলোচনা করা হলোঃ

(১) ক্যাডেট থেকে ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরালঃ

ক্যাডেট থেকে ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল পদোন্নতি নীতিমালা নিম্নে বর্ণিত হলোঃ

(ক) ক্যাডেট হতে ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল পদোন্নতি নীতিমালা যথাক্রমে ক্রোড়পত্র ‘ক’ ও ‘খ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(খ) ক্যাডেট হতে ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল পদোন্নতি পরীক্ষার সময়সূচী যথাক্রমে ক্রোড়পত্র ‘গ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(গ) প্লাটুন কমান্ডার, ক্যাডেট হতে ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল পদোন্নতি পরীক্ষার এক মাস পূর্বে পরীক্ষার দিন ও তারিখ উল্লেখ করে নোটিশ দিবেন।

(ঘ) ক্যাডেট হতে ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল পদোন্নতি পরীক্ষা একটি পর্যদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্লাটুন অনুষ্ঠিত হবে। পর্যদের গঠন ক্রোড পত্র ‘ঘ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(ঙ) পদোন্নতি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর যথাক্রমে ক্রোড় পত্র ‘ঙ’, ‘চ’, ‘ছ’ ও ‘জ’, হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(চ) ব্যাটালিয়ন এ্যাডজুটেন্ট/কোম্পানী কমান্ডার তার স্ব স্ব প্লাটুনের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ৩ সেট প্রশ্ন পত্র পরীক্ষার এক সপ্তাহ পূর্বে প্রস্তুত করবেন এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের অনুমোদন নিবেন।

(ছ) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনকারীর ক্যাডেট শীপ বাতিল করা হবে।

(জ) পরীক্ষার যাবতীয় ষ্টেশনারী খরচ স্ব স্ব প্লাটুন বহন করবে।

(ঝ) পর্ষদ সভাপতি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি পরীক্ষার্থীর ক্যাডেট নং, পদবী, নাম উল্লেখ পূর্বক প্রতিটি বিষয়ে কে কত নম্বর পেলো তা ফলাফল শীট আকারে পর্যদের সবার স্বাক্ষরসহ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে প্রেরণ করবেন।

(ঞ) প্রাপ্ত ফলাফলের মেধা তালিকা অনুযায়ী টি ও এন্ড ই তে বর্ণিত ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরালের খালিপদ পূরণ করা হবে।

(২) ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল হতে ক্যাডেট কর্পোরালঃ

ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল হতে ক্যাডেট কর্পোরাল পদে পদোন্নতি নীতিমালা নিম্নে দেওয়া হলো:

(ক) ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল হতে ক্যাডেট কর্পোরাল পদে পদোন্নতি নীতিমালা যথাক্রমে ক্রোড়পত্র ‘ক’ও’খ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(খ) ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল হতে ক্যাডেট কর্পোরাল পদে পদোন্নতি পরীক্ষার সময়সূচী ক্রোড়পত্র ‘গ’ হিসেবে সংযুক্ত করা হলো।

(গ) প্লাটুন কমান্ডার, ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল হতে ক্যাডেট কর্পোরাল পদে পদোন্নতি পরীক্ষার একমাস পূর্বে পরীক্ষার দিন ও তারিখ উল্লেখ করে নোটিশ দিবেন।

(ঘ) ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল হতে ক্যাডেট কর্পোরাল পদে পদোন্নতি পরীক্ষা একটি পর্যদের মাধ্যমে স্ব-স্ব প্লাটুনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষেত্র বিশেষে কোম্পানীর সবগুলো প্লাটুনের পরীক্ষা এক জায়গায় নেয়া যেতে পারে। পর্ষদ গঠন ক্রোড়পত্র ‘ঘ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(ঙ) পদোন্নতি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর যথাক্রমে ক্রোড় পত্র ‘ঙ’, ‘চ’, ‘ছ’ ও ‘জ’, হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(চ) ব্যাটালিয়ন এ্যাডজুটেন্ট/কোম্পানী কমান্ডার স্ব-স্ব প্লাটুনের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ০৩ সেট প্রশ্নপত্র পরীক্ষার এক সপ্তাহ পূর্বে প্রস্তুত করবেন এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের অনুমোদন নিবেন।

(ছ) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনকারীর ক্যাডেট শীপ বাতিল করা হবে।

(জ) পরীক্ষার যাবতীয় ষ্টেশনারী খরচ স্ব-স্ব প্লাটুন বহন করবে।

(ঝ) পর্ষদ সভাপতি পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি পরীক্ষার্থীর ক্যাডেট নম্বর, পদবী ও নাম উল্লেখ পূর্বক প্রতিটি বিষয়ে কে কত নম্বর পেল তা ফলাফল শীট আকারে পর্ষদের সবার স্বাক্ষরসহ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে প্রেরণ করবেন। এক্ষেত্রে স্ব-স্ব প্লাটুন কমান্ডার পর্ষদ সভাপতিকে সব ধরণের সহযোগীতা করবেন।

(ঞ) প্রাপ্ত ফলাফলের মেধা তালিকা অনুযায়ী টিওএন্ডই-তে বর্ণিত ক্যাডেট কর্পোরালের খালিপদ পূরণ করা হবে।

৩) ক্যাডেট কর্পোরাল হতে ক্যাডট সার্জেন্টঃ

ক্যাডেট কর্পোরাল হতে ক্যাডট সার্জেন্ট পদোন্নতি নীতিমালা নিম্নে বর্নিত হলোঃ

(ক) ক্যাডেট কর্পোরাল হতে ক্যাডেট সার্জেন্ট পদোন্নতি নীতিমালা যথাক্রমে ক্রোড় পত্র ‘ক’ও’খ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(খ) ক্যাডেট কর্পোরাল হতে ক্যাডেট সার্জেন্ট পদোন্নতি পরীক্ষার সময়সূচী ক্রোড পত্র ‘গ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(গ) প্লাটুন কমান্ডার ক্যাডেট কর্পোরাল হতে ক্যাডেট সার্জেন্ট পদোন্নতি পরীক্ষার একমাস পূর্বে পরীক্ষার দিন ও তারিখ উল্লেখ করে নোটিশ দিবেন।

(ঘ) ক্যাডেট কর্পোরাল হতে ক্যাডেট সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পরীক্ষা একটি পর্যদের মাধ্যমে স্ব-স্ব প্লাটুনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষেত্র বিশেষে কোম্পানীর সবগুলো প্লাটুনের পরীক্ষা এক জায়গায় নেয়া যেতে পারে। পদোন্নতি পরীক্ষার পর্ষদ গঠন ক্রোড়পত্র ‘ঘ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(ঙ) পদোন্নতি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর যথাক্রমে ক্রোড় পত্র ‘ঙ’, ‘চ’, ‘ছ’ ও ‘জ’, হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(চ) ব্যাটালিয়ন এ্যাডজুটেন্ট লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ০২ সেট করে ০৪ সেট প্রশ্নপত্র পরীক্ষার এক সপ্তাহ পূর্বে প্রস্তুত করবেন এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের অনুমোদন নিবেন।

(ছ) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনকারীর ক্যাডেট শীপ বাতিল করা হবে।

(জ) পরীক্ষার যাবতীয় ষ্টেশনারী খরচ স্ব-স্ব প্লাটুন বহন করবে।

(ঝ) পর্ষদ সভাপতি পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি পরীক্ষার্থীর ক্যাডেট নম্বর, পদবী ও নাম উল্লেখপূর্বক প্রতিটি বিষয়ে কে কত নম্বর পেল তা ফলাফল শীট আকারে পর্যদের সবার স্বাক্ষরসহ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে প্রেরণ করবেন। এক্ষেত্রে স্ব-স্ব প্লাটুন কমান্ডার পর্ষদ সভাপতিকে সব ধরণের সহযোগীতা করবেন।

(ঞ) প্রাপ্ত ফলাফলের মেধা তালিকা অনুযায়ী টিওএন্ডই-তে বর্ণিত ক্যাডেট সার্জেন্টের খালিপদ পূরণ করা হবে।

(৪) ক্যাডেট সার্জেন্ট হতে ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও):

ক্যাডেট সাজেন্ট হতে ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) পদোন্নতি নীতিমালা নিম্নে বর্ণিত হলোঃ

(ক) ক্যাডেট সার্জেন্ট হতে ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) পদোন্নতি নীতিমালা যথাক্রমে ক্রোড় পত্র ‘ক’ও’খ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(খ) ক্যাডেট সার্জেন্ট হতে ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিহউও) পদোন্নতি পরীক্ষার সময়সূচী ক্রোড় পত্র ‘গ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(গ) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পদোন্নতি পরীক্ষার দিন ধার্য করে একমাস আগে প্লাটুন ও কোম্পানী কমান্ডারকে পত্র দিবেন। প্লাটুন কমান্ডার পত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরীক্ষার দিন ও তারিখ উল্লেখ করে নোটিশ দিবেন।

(ঘ) ক্যাডেট সার্জেন্ট হতে সিইউও পদোন্নতি পরীক্ষা একটি পর্যদের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। পদোন্নতি পরীক্ষার পর্যদের গঠন ক্রোড়পত্র ‘ঘ’ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(ঙ) পদোন্নতি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর যথাক্রমে ক্রোড় পত্র ‘ভ’, ‘চ’, ‘খ’ ও ‘ভ’, হিসাবে সংযুক্ত করা হলো।

(চ) রেজিমেন্ট সদর হতে পদোন্নতি পরীক্ষার এক সপ্তাহ পূর্বে প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং পরীক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য সুক্ষ্ম পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীতা যাছাই করবেন।

(ছ) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনকারীর ক্যাডেট শীপ বাতিল করা হবে।

(জ) পরীক্ষার যাবতীয় ষ্টেশনারী খরচ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর বহন করবে।

(ঝ) পর্যদ সভাপতি পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি পরীক্ষার্থীর ক্যাডেট নম্বর, পদবী ও নাম উল্লেখ পূর্বক প্রতিটি বিষয়ে কে কত নম্বর পেল তা ফলাফল শীট আকারে পর্যদের সবার স্বাক্ষরসহ রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে প্রেরণ করবেন।

(ঞ) প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রথম ০৩ জনের মধ্য হতে রেজিমেন্ট কমান্ডারের সাক্ষাতকারের (ইনটারভিউ) পর এক জনকে সিইউও পদে পদোন্নতি প্রদান করা হবে।

(ট) টিওএন্ডই অনুযায়ী একটি কোম্পানীতে একজনই সিইউও থাকবে।

 

ক্যাডেট পদোন্নতি পরীক্ষার পাঠ্যক্রমঃ

বিএনসিসির ক্যাডেটদের পদমর্যাদার ক্রম অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় যথাক্রমে ক্রোড়পত্র ঙ, চ, ছ ও জ হিসাবে সংযুক্ত করা হলো। পদোন্নতি পরীক্ষা বিভিন্ন ধাপে জুনিয়র ও সিনিয়র ডিভিশন ক্যাডেটদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন ধাপে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার পাঠ্যক্রম নিম্নে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো।

(১) জুনিয়র ডিভিশনের ধাপ

(ক) ষ্ট্যান্ডার্ড-২ তাত্ত্বিক/লিখিত পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(i) বিএনসিসি সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান।

(ii) মাইনর রণ কৌশল।

(iii) সাধারণ জ্ঞান।

(iv) মানচিত্র পঠন।

(খ) ষ্ট্যান্ডার্ড-২ ব্যবহারিক পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(i) ড্রিল

(গ) ষ্ট্যান্ডার্ড-১ তাত্ত্বিক/লিখিত পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(i) বিএনসিসি সম্পর্কিত উচ্চতর জ্ঞান।

(ii) মাইনর রণ কৌশল।

(iii) সাধারণ জ্ঞান।

(iv) মানচিত্র পঠন

(ঘ) ষ্ট্যান্ডার্ড-১ ব্যবহারিক পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(1) ড্রিল অস্ত্রসহ ও কমান্ড।

(২) সিনিয়র ডিভিশনের ধাপ

(ক) গ্রেড-২ তাত্ত্বিক/লিখিত পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(i) বিএনসিসি সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান।

(ii) মাইনর রণ কৌশল।

(iii) সাধারণ জ্ঞান।

(iv) মানচিত্র পঠন।

(খ) গ্রেড-২ ব্যবহারিক পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(i) ড্রিল- অস্ত্রসহ ও কমান্ড।

(গ) গ্রেড-১ তাত্ত্বিক/লিখিত পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(i) বিএনসিসি সম্পর্কিত উচ্চতর জ্ঞান ।

(ii) মাইনর রণ কৌশল।

(iii) সাধারণ জ্ঞান।

(iv) মানচিত্র পঠন।

(ঘ) গ্রেড-২ ব্যবহারিক পরীক্ষার পাঠ্যক্রম

(i) ড্রিল- অস্ত্রসহ ও কমান্ড।

উপসংহারঃ

গ্রুমিং ফিউচার লিডার আমাদের উদ্দেশ্য, তাই সৎ ও যোগা ক্যাডেটদের নেতৃত্বে সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। ক্যাডেটদের মান সম্মত ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব সমাজ ও দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে আরো পরিপূর্ণতা দিবে। পাশাপাশি নতুন ক্যাডেটদের মধ্যে লুকায়িত নেতৃত্বের গুণাবলী উজ্জীবিত করবে। সৎ ও যোগা ক্যাডেট নির্বাচনে পদোন্নতি পর্যদের সবার আন্তরিকতা এবং বিশেষ করে প্লাটুন কমান্ডারের সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া বিএনসিসির ক্যাডেটদের পদোন্নতির নীতিমালাটি নিয়মতান্ত্রিক হওয়ায় যোগ্য ক্যাডেটরাই পদোন্নতি পাবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নীতিমালাটি পর্যদের সবার সহায়ক নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে। কেবল মাত্র একটি সুষ্ঠু নিয়মতান্ত্রিক ও সঠিক পদোন্নতি নীতিমালা দিতে পারে মান সম্মত ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছতা।

About মুহম্মদ জিয়াউর রহমান

Check Also

ক্যাডেট পদোন্নতি পরীক্ষার দরকারী প্রশ্ন ও উত্তর-০২

প্রশ্নঃ দুর্যোগ কাকে বলে? দুর্যোগের প্রকারভেদ কয়টি ও কি কি?  উত্তরঃ যা স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে বিপন্ন …

Leave a Reply

Optimized by Optimole